বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

জাতির পিতা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর গভীর শ্রদ্ধা

স্বাধীন কণ্ঠ ডেস্ক : / ২৩৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং ধানমন্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
দেশের মহান সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি প্রথমে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সশস্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, তখন বিউগেলে করুণ সুর বাজানো হয়।
পরে দলের নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে শহীদ বেদীতে আরও একটি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এখানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন।
এরপর তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে গিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এই অবিসংবাদিত নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এখানেও প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আরেকটি পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামসরা তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্তে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর ঘাঁটিতে নির্মম নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুরের জলাভূমিতে হত্যা করে ফেলে রাখে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন ডা. আলীম চৌধুরী, ডা. ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজুদ্দিন হোসেন, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এস এ মান্নান, সাংবাদিক ও কবি সেলিনা পারভীন, সাহিত্যিক মুনির চৌধুরী, অধ্যাপক অনোয়ার পাশা, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ সহ আরো অনেকে।
বুদ্ধিজীবী হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর