পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসিত পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি কেএনএফের
শুরু থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসিত পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছিল কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। নয়টি উপজেলা নিয়ে তারা পৃথক রাজ্য গঠন করতে চাচ্ছিল। এবার সেই দাবি থেকে সরে এসেছে সশস্ত্র এ গোষ্ঠী। তারা ওই অঞ্চলের সাতটি উপজেলা নিয়ে ‘স্বশাসিত পরিষদ’ প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছে।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘কুকি-চিন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ নামের এই পরিষদের হাতে ন্যস্ত থাকবে ওই এলাকার ভূমি, পর্যটন ও পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ প্রদানের সর্বময় ক্ষমতা। এছাড়া কুকি-চিন আর্মড ব্যাটেলিয়ন (কেএবি) নামে সশস্ত্র পদাতিক ব্যাটালিয়ন গঠন করার দাবিও জানানো হয়।
শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৬ দফার এসব দাবি জানায় কেএনএফ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ নামের একটি ফেসবুক পেজে দাবি সংবলিত পোস্টটি করা হয়।
তাদের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে, ‘কেএনএফের সশস্ত্র আন্দোলনকারী ব্যক্তিদের নামে সব মামলা প্রত্যাহার করা। বিভিন্ন সময় বাস্তুচ্যুত হয়ে ভারতের মিজোরামে বসবাসরত বম জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের পালেতুয়া এলাকায় খুমি ও ম্রো জনগোষ্ঠীর শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে পুনর্বাসনের সুযোগ করা।’
ফেসবুকের ওই পোস্টে জানানো হয়, কেএনএফের ৬ দফা দাবি ও সম্ভাব্য চু্ক্িত খসড়া প্রথম শান্তি বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর দাখিল করে।
বান্দরবানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির দুই দফায় মুখোমুখি সংলাপ হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি তৃতীয় দফা সংলাপ হওয়ার কথা থাকলেও এর আগেই গত মঙ্গলবার বান্দরবানে রুমায় ও বুধবার থানচিতে দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এ হামলার জন্য দায়ী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট।