প্রথম মাঙ্কিপক্স টিকার অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
চলতি বছর কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্তের পর থেকে বিশ্বের কয়েকটি দেশে ছড়িয়েছে ভাইরাসটি। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোতে দ্রুত প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে মাঙ্কিপক্সের। বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ এই রোগ বিস্তার ঠেকাতে প্রথম ‘মাঙ্কিপক্স টিকা’র অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর রয়টার্স। আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রতে মাঙ্কিপক্সের প্রথম টিকা এমভিএ-বিএন পৌঁছানোর পর ডব্লিউএইচও এই টিকার অনুমোদন দিল। বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, “মাঙ্কিপক্সের প্রথম টিকার প্রাথমিক অনুমোদন ভাইরাসজনিত রোগটি মোকাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। এখন আমাদের টিকা সংগ্রহ-বিতরণে গতি বাড়াতে হবে। এই রোগের সংক্রমণ, বিস্তার ও প্রাণহানি ঠেকানোর জন্য যেসব স্থানে টিকা এখন সবচেয়ে জরুরি, সেসব স্থানের মানুষ যাতে সবার আগে টিকা পান, আমাদের তা নিশ্চিত করতে হবে।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাথমিক অনুমোদনের অর্থ এখন মাঙ্কিপক্সের এই টিকার মান, সুরক্ষা ও কার্যকারিতার বিষয়টি যাচাই করে দেখা হয়েছে। সংস্থাটির প্রাথমিক অনুমোদন থাকায় এই টিকা জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থা সংগ্রহ করতে পারবে। এর পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্বল্প আয়ের দেশগুলো নিজেরা মান, সুরক্ষা ও কার্যকারিতার বিষয়টি যাচাই না করে দ্রুত টিকা সংগ্রহ করতে পারবে। চলতি বছর কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পর আফ্রিকার দেশগুলোতেও মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। পরে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। চলতি বছর ভাইরাসটির নতুন ধরন ক্লেড১ বি বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বে মাঙ্কিপক্স্ব শতাধিক মানুষ মারা গেছে।