পায়ুপথ দিয়ে একে একে বেরিয়ে এলো ৩ কেজি স্বর্ণ
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শারজাহ থেকে আসা এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটের এক যাত্রীর কাছ থেকে তিন কেজি ২৩১ গ্রাম স্বর্ণসহ এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। তার নাম সুমন হোসেন। শনিবার বিকেলে বিমানবন্দরের আগমনী কনকোর্স হলের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
এপিবিএন-এনএসআই যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি জানান, সুমন শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে শনিবার বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে নামার পর সকল কার্যক্রম শেষে অভিযুক্ত সুমন কাস্টমস গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করলে আভিযানিক দল কনকোর্স হলের সামনে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পায়ুপথে স্বর্ণ থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে কাস্টমসের বডি স্ক্যানারে স্ক্যান করানো হলে তার কথার সত্যতা মেলে।
তিনি আরও জানান, তার দেহের কোন অংশে স্বর্ণ লুকানো আছে তা নিশ্চিত হওয়ার উত্তরা ১ নং সেক্টরের জাহান আরা ক্লিনিকে এক্সরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এক্সরে পরীক্ষার পর তার পায়ুপথ ও তলপেটে স্বর্ণগুলোর উপস্থিতি পাওয়া যায়। এরপর এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের বিমানবন্দর অফিসে নিয়ে পায়ুপথ থেকে ৩ কেজি ১৬ গ্রাম স্বর্ণ বের করা হয়। এছাড়াও তার পরিহিত পোশাকের পকেট থেকে আরও একটি স্বর্ণবার (১১৬ গ্রাম) এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ৩ কেজি ২৩১ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানিয়েছে, শারজাহ প্রবাসী মিজান এবং আনোয়ার অর্থের বিনিময়ে তাকে এই স্বর্ণ পাচারের প্রস্তাব করলে তিনি তাতে রাজি হন এবং বিশেষ কৌশলে এই স্বর্ণ নিজের দেহে বহন করে বাংলাদেশে আনেন। এই কাজ সফল হলে তাকে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
আটক সুমন হোসেনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদরে। তার বাবার নাম ইসমাইল হাওলাদার। ব্যাগেজ সুবিধা ব্যবহার করে পণ্য আমদানির জন্য তিনি নিয়মিত বিদেশে যাওয়া আসা করেন। তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হবে বলে জানায় এপিবিএন।