শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন

আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস

Reporter Name / ৮৪৮ Time View
Update : বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

মাগুরা প্রতিনিধি: আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হয় মাগুরা। পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালিন মাগুরা মহাকুমায় ব্যাপক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
মাগুরাকে শত্রু মুক্ত করতে শ্রীপুরের আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বাধীন শ্রীপুর বাহিনী, মহম্মদপুরের ইয়াকুব বাহিনী, মহম্মদপুর-ফরিদপুর অঞ্চলের মাশরুরুল হক সিদ্দিকী কমল বাহিনী, মাগুরা শহরের খন্দকার মাজেদ বাহিনী এবং লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক সাহসী ভূমিকা নিয়ে পাকিস্তানী সেনা ও স্থানীয় রাজাকার আল বদর বাহিনীর সাথে প্রাণপণ যুদ্ধ করে। গেরিলা বাহিনীর ব্যাপক আক্রমণের মুখে পাক বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। ৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী নিজনান্দুয়ালী গ্রামসহ বিভিন্ন পাকিস্তানী ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। একই সাথে মিত্রবাহিনীর আগ্রাসনের ভয়ে পাকিস্তানী সেনারা রাতারাতি মাগুরা শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
৭ ডিসেম্বর মাগুরা শত্রুমুক্তির আনন্দে মুক্তিকামি মানুষের ঢল নামে সারা শহরে। জয় বাংলা স্লেøাগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাগুরা এলাকা। যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যমত সংগঠক ভারতের রানাঘাট যুব ক্যাম্পের ইনচার্জ এমপি আছাদুজ্জামান মাগুরার মুক্তি বাহিনীকে দিক নির্দেশনা, যুদ্ধাস্ত্র ও রসদ সরবরাহ করতেন। ৭ ডিসেম্বর বিকেলে সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক আছাদুজ্জামান মিত্রবাহিনীর দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনাপতি মেজর চক্রবর্তীর সাথে সাজোয়া যানে মাগুরায় প্রবেশ করেন। মাগুরা নোমানী ময়দানে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত কুজকাওয়াজে আছাদুজ্জামানের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠনিকভাবে মাগুরাকে পাকহানাদার মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়।
মাগুরা মুক্ত দিবসটি পালন উপলক্ষে মাগুরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে রাত্রীকালীন সময়ে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত দপ্তর ও বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জাকরণ, সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে নোমানী ময়দান পর্যন্ত র‌্যালি, শহরের নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ, নোমানী ময়দান প্রাঙ্গনে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের পতাকা উত্তোলন, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ আলোচনা সভা,সন্ধ্যায় শহরের চৌরঙ্গী মোড়, ভায়না মোড়সহ প্রধান প্রধান সড়ক ও বাড়ির ছাদে ব্লাক আউট ও মোমবাতি প্রজ্জলনসহ নানা কর্মসূচির গ্রহণ করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর