আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে উগান্ডার ক্রিকেটার
২০২৩ সালের পারফরম্যান্স মূল্যায়নে বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছে আইসিসি। গত বছরের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন ভারতের ৪ ক্রিকেটার। এছাড়াও জিম্বাবুয়ের ২ ও ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড এবং উগান্ডার একজন করে ক্রিকেটার আছেন এই তালিকায়। আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ওপেনিংয়ে ইয়াশাসভি জাইসাওয়ালের সঙ্গে সুযোগ পেয়েছেন ইংল্যান্ড ফিল সল্ট। গত আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক হওয়ার পর ১৪ ম্যাচে ৪৩০ রান করেন জাইসাওয়াল। সল্ট মাত্র ৮ ইনিংস ব্যাট করে ৩৯৪ রান করেন। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে ৩ নম্বরে আছেন নিকোলাস পুরান। ১৬৩ স্ট্রাইক রেটে ১৩ ইনিংসে ৩৮৪ রান সংগ্রহ করেছেন বছরজুড়ে। আইসিসির টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া সূর্যকুমার আছেন চার নম্বরে। পাঁচে রাখা হয়েছে মার্ক চ্যাপম্যানকে। ৫৭৬ রান করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। এরপর আছেন সিকান্দার রাজা। জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হলেও রাজা তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছে বছরজুড়ে। উগান্ডার ক্রিকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিল ২০২৩। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দলটি। উগান্ডার হয়ে বল-ব্যাটে পারফর্ম করেন আলপেশ রমজানি, যিনি জায়গা করে নিয়েছেন সেরা একাদশে। ৩০ ম্যাচে ৪.৭৭ ইকোনমি রেটে ৫৫টি উইকেটের সঙ্গে ২৮.০৬ গড়ে ৪৪৯ রান করেন তিনি। আয়ারল্যান্ড বোলিং অলরাউন্ডার মার্ক অ্যাডেয়ার ৭.৪২ ইকোনমিতে বছরজুড়ে সংগ্রহ করেছেন ২৬টি উইকেট। প্রতি ১৩ টি ডেলিভারিতে একটি করে উইকেট আছে তাঁর। এ ছাড়াও একাদশে জায়গা পাওয়া রবি বিষ্ণয় ভারতের হয়ে পুরো বছরে ১৮টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বোলিং র্যাংকিংয়ের শীর্ষ বোলার হিসেবেও নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন তিনি। আছেন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি পেসার রিচার্ড নাগারভা৷ যিনি ২০২৩ সালে ব্যাটারদের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন। একাদশে থাকা আরেক পেসার আর্শদ্বীপ সিং। ২০২৩ সালে ২১ ম্যাচে ২৬টি উইকেট পেয়েছেন ভারতীয় পেসার।