টানা দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা সূর্যকুমার
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সূর্যকুমার যাদবের শ্রেষ্ঠত্ব অবিসংবাদিত। সেই শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেলেন এই ভারতীয় ব্যাটার। টানা দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন সূর্যকুমার। এর আগে ২০২২ সালেও বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের মনোনয়ন তালিকায় সূর্যকুমারের সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। তারা হলেন- জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা, উগান্ডার বাঁ-হাতি স্পিনার আল্পেশ রামজানি এবং নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অলরাউন্ডার মার্ক চ্যাপম্যান। এদিকে মেয়েদের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস। তার সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিস পেরি, ইংল্যান্ডের সোফি একলস্টন এবং শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু। আগের বছরের মতো গতবছরও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রাজত্ব করেছেন সুর্যকুমার। গত বছর ব্যাট হাতে ১৭ ইনিংসে ৪৮.৮৮ গড় ও ১৫৫.৯৬ স্ট্রাইকরেটে ৭৩৩ রান করেছেন এই ভারতীয়। ভারতীয় দলকে দিয়েছেন নেতৃত্ব। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হাঁকিয়েছেন শতক, যা চলতি বছরে তার দ্বিতীয় শতক। দারুণ এই পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বও পেয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সারপ্রাইজ প্যাকেজ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে উগান্ডা। প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো বিশ্বকাপ ইভেন্টে খেলবে দলটি। বিশ্বকাপে দলকে তুলতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার আল্পেশ রামজানি। গত বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন রামজানি। ৩০ ম্যাচে মাত্র ৪.৭৭ ইকোনমি রেটে ৫৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। গড়ে প্রতি ১১ বলে ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব থেকে জিম্বাবুয়ে বাদ পড়লেও বছরজুড়েই দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন সিকান্দার রাজা। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে একাই টেনেছেন জিম্বাবুয়েকে। ১১ ইনিংসে ৫১.৫০ গড় ও ১৫০.১৪ স্ট্রাইকরেটে ৫১৫ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া বল হাতে ১৪.৮৮ গড়ে ১৭ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের মার্ক চ্যাপম্যানও কাটিয়েছেন ভালো সময়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র করা পাঁচ ম্যাচের সিরিজেই ২৯০ রান করেছিলেন তিনি। এর মধ্যে আছে ৫৭ বলে ১০৪ রানের অনবদ্য এক ইনিংসও, যার ওপরে ভর করে সিরিজ ড্র করে কিউইরা। সব মিলিয়ে গত বছর ৫০.৫৪ গড় ও ১৪৫.৫৪ স্ট্রাইকরেটে ৫৫৬ রান করেছেন চ্যাপম্যান।