মহম্মদপুর মাগুরায় গোয়ালঘরের কয়েলের আগুনে পুড়ে, একটা গাভী ও চারটি ছাগলের মৃত্যুতে শোক সইতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরও মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে এগারোটার দিকে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের চর মাধবপুর গ্রামে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া কৃষকের নাম মো. ময়েন মোল্যা (৬৫)। ময়েন মোল্যা আগে কৃষি কাজ করতেন। বর্তমানে স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত আয়েন উদ্দিন মোল্যার ছেলে। তাঁর তিন ছেলে, তিন মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন। পুলিশ ও এলাকার লোকজন জানান, গবাদিপশুকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করতে গোয়ালঘরে কয়েল জ্বালিয়ে রেখেছিলেন বাড়ির মালিক ময়েন মোল্যা। সেই কয়েলের আগুন থেকে গোয়ালঘরে আগুন লাগে। দ্রুত ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ে । আগুনে দগ্ধ হয়ে একটি গাভী ও চারটি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্থ ময়েন মোল্যা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিলে রাত পৌনে একটারদিকে তাঁর মৃত্যু হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক ধারণা করছেন। পরে স্থানীয় গ্রামবাসী প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষক্তি হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। ওই বাড়ির বাসিন্দা ময়েন মোল্যার বড় ছেলে নিপুল মোল্যা জানান, প্রতিদিনের মতো গতকাল সন্ধ্যায় গোয়ালঘরে কয়েল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ গোয়ালঘরে আগুন লাগে। মুহূর্তে ওই আগুন পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয় লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। এ সময় গোয়ালঘরে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া মৃত একটা গাভী ও চারটি ছাগল উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, আগুনে তাঁর গোয়ালঘর ও একটি গাভী ও দুটি ছাগল পুড়ে গেছে। এতে তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে আগুনের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে বাবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তদারক করেছি। রাতেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহায়তা দিয়েছি।’ মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, ময়েন মোল্যার বাড়ির গোয়ালঘরের কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এঘটনার পর অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন ময়েন মোল্যা।