শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০০ অপরাহ্ন

কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : / ৩৩৩ Time View
Update : রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না। বান্দরবানের রুমার ঘটনায় সন্ত্রাসীরা তাদের সক্ষমতা প্রর্দশন দেখানোর চেষ্টা করেছে মাত্র তবে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ধুলিসাৎ করে দেবে। গতকাল শনিবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে বান্দরবান জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমন মন্তব্য করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বান্দরবানে আমরা সব বাহিনীর সদস্য আরও বাড়াবো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে যা যা করা দরকার তা করবো। মন্ত্রী আরও বলেন, বান্দরবান অত্যন্ত শান্তপ্রিয় এলাকা আর এ এলাকায় এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে তিনি প্রথমে বান্দরবানে রুমা উপজেলায় পৌঁছান, পরে তিনি সেখানে সোনালী ব্যাংকে শাখা পরিদর্শন করেন এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে ঘটনার বিবরণ শুনেন। পরে দুপুর ১টায় তিনি হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবান সদরে পৌঁছে আবার প্রশাসনের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় করেন। শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি বান্দরবান সদর থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন। এর আগে রুমায় সোনালী ব্যাংক পরিদর্শনের পর উপজেলা কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ব্যাংকে ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই এলাকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় আগাম তথ্য দেওয়ার বিষয়ে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীনসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন পদ মর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সদস্যরা গত কয়েকদিন ধরে রুমা,থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে সশস্ত্র হামলা করে টাকা লুট করে এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধর করে ১৪টি অস্ত্র ও ৩৮০ রাউন্ড গুলি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এদিকে কয়েকদিনের চলমান বিভিন্ন সশস্ত্র হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় বান্দরবানের রুমা ও থানচি থানায় ৭টি মামলা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর