‘কুটনি বুড়ি’ বললেন ন্যানসি, সায় দিলেন কোনাল
নানান ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকেন কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি। গত রোববার তার ফেসবুকের একটি পোস্ট ভক্তদের ভাবিয়ে তুলেছে। ক্ষুব্ধ গায়িকা ওই পোস্টে কোনো এক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে ‘কুটনি বুড়ি’ ও ‘শেয়াল রাণী’ সম্বোধন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ন্যানসি যার ওপর ক্ষুব্ধ, তিনি একজন নারী। শেয়ালের ছবি পোস্ট করে ওই পোস্টে জনৈক ব্যক্তিকে সতর্ক করেছেন এই ন্যানসি। তিনি লিখেছেন, ‘বরাবর, কোকিল নামযুক্ত কুটনী বুড়ি শেয়াল রাণী। পরের চুল কাটা নিয়ে না ভেবে নিজের লেজ কোথায়, কাদের কাছে, কীভাবে এবং কতবার কেটে এসেছো সেটা নিয়ে ভাবো। মেকাপ ছাড়া দেখতে তুমি যেমন বিশ্রি, তোমার কর্মকাণ্ডও ঠিক তেমন বিশ্রি।’ শেষে সতর্কবার্তাসহ ন্যানসি লিখেছেন, ‘মানের ভয় তোমার নেই জানি, কিন্তু প্রাণের ভয় তো আছে! তাই যত দ্রুত পারো জঙ্গলে চলে যাও। নইলে যে কোনো সময় রাম প্যাদানি খাবে। সতর্কবার্তা প্রচারে – সুস্থ শিল্প সমাজ।’ ন্যানসির পোস্টের কমেন্টে অনেকেই জানতে চেয়েছেন, কে এই কুটনি বুড়ি? মো. শামীম ভূইয়া নামে একজন লিখেছেন, ‘অর্থ বুঝতে খুব কষ্ট হয়ে গেল।’ জবাবে ন্যানসি লিখেছেন, ‘আমাদের গানের জগতে বিগত কয়েক বছর ধরে একটাই আবর্জনা। আপনি না বুঝলেও গসিপ-মাতা ঠিকই বুঝবে কী বলতে চেয়েছি।’ তানভীর মাহমুদ ন্যানসিকে প্রশ্ন করেছেন, ‘কাকে বললে প্রিয় গায়িকা?’ উত্তরে ন্যানসি লিখেছেন, ‘লেজকাটা বুড়ি শেয়াল-রানীকে বলেছি।’ ওই পোস্টে ন্যানসি যাকে ইঙ্গিত করেছেন, তাকে চিহ্নিত করতে কষ্ট হয়নি শিল্পী কোনালের। পোস্টটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘ন্যানসি আপু ফিরেছেন। বহুরূপী, মিথ্যুক, হিপোক্রেটরা আসলে বোঝে না, অসভ্য আচরণ, বর্বরতা, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে ছড়াতে মানুষ টায়ার্ড হয়ে গেলেও আল্লাহ টায়ার্ড হন না। রাম প্যাদানির সময় আসার আগে তার নিজের বেঁচে থাকা সম্মানটুকু নিয়ে সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত। অনেক হয়েছে! মানুষের সহ্যের সীমা থাকে। সীমা অতিক্রম করাটা আল্লাহও পছন্দ করেন না!’ উল্লেখ্য, কে এই অভিযুক্ত ‘কুটনি বুড়ি’-‘শেয়াল রানী’ তা জানতে চাওয়া হয়নি দুই গায়িকার কাছে। সংগীতাঙ্গনের ভেতরকার দ্বন্দ নিয়ে প্রায়ই সরব হতে দেখা যায় এই শিল্পীদের। এমনকি ঢাকার সংগীতাঙ্গনে কান পাতলে কাজ নিয়ে কাড়াকাড়ির নানা গল্প শোনা যায়। সেসব ছাপিয়ে ন্যানসি ও কোনাল দুজনের ঝুলিতেই জমেছে কিছু জনপ্রিয় গান। ন্যানসির গাওয়া ‘সোনার মেয়ে’ এখনও মনে রেখেছে শ্রোতারা। অন্যদিকে কোনালের গাওয়া ‘মেঘের নৌকা’ গানটি বিশেষভাবে পছন্দ করেছেন শ্রোতারা।