রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন

আমাদের গণতন্ত্রের শিক্ষা দেবেন না: যুক্তরাষ্ট্রকে তথ্যমন্ত্রী

Reporter Name / ৩৮১ Time View
Update : সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা গণতন্ত্রের শিক্ষা দিচ্ছেন তাদের দেশেই গণতন্ত্রের নেই। তাই আমাদের গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার ও সংসদ এলাকা কবর অপসারণের দাবিতে ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা অনেকের পছন্দ নয়। সে জন্য নানা ছলছুতায় প্রথমে আনে মানবাধিকার, তারপর বলে সুষ্ঠু পথে নির্বাচন হয়নি। আমাদের দেশে অবশ্যই আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও জনগণের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে। সরকার সর্বোচ্চভাবে নির্বাচন কমিশনকে এটি করার জন্য সহযোগিতা করবে। দয়া করে আমাদেরকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দেবেন না কেউ।

যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আমাদের পার্লামেন্ট ভবনে ঘেরাও করে কেউ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়নি। আমাদের দেশে পরাজিত প্রার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরাজয় মেনে নেয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পরাজয় মেনে নেয়নি। যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান, তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নেই।

বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশে আবার সন্ত্রাস করার পরিকল্পনা করছে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে এভাবে আন্দোলন করে বা হামাগুড়ি দিয়ে, কয়দিন হাঁটা কর্মসূচি বা বসা কর্মসূচি, কয়দিন দাঁড়ানো কর্মসূচি– এসব কর্মসূচি দিয়ে মানুষকে সম্পৃক্ত করা যায়নি। তাই তারা দেশকে অস্থিতিশীল ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিশ্ব থেকে ফায়দা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে এবং রাজপথে থাকবে। কাউকে আর ২০১৩-১৫ সালের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা দেশে-বিদেশে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। পৃথিবীতে কিছু কিছু সংগঠন আছে যারা মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করে। তারা কাউকে কিল মারলে বিবৃতি দেয়, কাউকে ঘুষি মারলেও বিবৃতি দেয়। কিন্তু তাদের আত্মীয়-স্বজন কাউকে মেরে ফেললে কোনো বিবৃতি নাই। ২০১৩-১৪ সালে যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, ফিলিস্তিনের শিশুরা যখন ঢিল ছুড়ে তার প্রতিবাদে ইসরাইলে সৈন্যরা যখন পাখির মতো শিশুদের শিকার করে, তখন কোনো বিবৃতি নাই। আপনাদের অনুরোধ জানাব, আপনারা যদি মানবাধিকার ব্যবসাটা করেন, তাহলে এই দিকগুলোর দিকেও আপনারা তাকাবেন। মায়ের কান্নার কান্না যখন আপনাদের কানে পৌঁছে না, তখন আপনারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে খালেদা জিয়ার যেনো সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত হয়, সে জন্য সরকার যা কিছু করার তা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। কিন্তু বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে আপনার রাজনীতি করবেন, সেটা তো করতে দেওয়া যায় না। বিএনপি খালেদা জিয়াকে রাজনীতির দাবার গুটি বানিয়েছে। এতে করে মনে হয়েছে, তারা চায় না বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ হোক। তারা চায় খালেদা জিয়া আরও অসুস্থ থাকুক। তাহলে তারা রাজনীতিটা করতে পারে। খালেদা জিয়া দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় সরকার তার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারটা আদালতের। আদালতের অনুমতি ছাড়া তো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এ নিয়ে দয়া করে রাজনীতি করবেন না।

মায়ের কান্না সংগঠনের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিয়া লেলিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমসহ আরও অনেকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর