চাকরি করতে গিয়ে স্থায়ী হওয়া যায় যেসব দেশে
অনেকেই বিদেশে গিয়ে চাকরি করতে চান। কেননা, বিদেশে গিয়ে চাকরি করলে জীবনযাত্রার ধরণটাই একদম বদলে যায়। পাশাপাশি বিশ্ব ভ্রমণেরও একটা অতিরিক্ত সুযোগ হাতের মুঠোয় চলে আসে।
অনেকেরই স্বপ্ন থাকে বিদেশে চাকরি করার আর তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে এগিয়ে এলো আটটি দেশ। চাকরির জন্য বিশ্বের আটটি দেশ কর্মপ্রার্থীদের ভিসার সুবিধা দিচ্ছে।
শুধুমাত্র পাসপোর্ট এবং মার্কশিট থাকলেই সুযোগ পাবেন আপনারা। প্রতি মাসে ভালো প্যাকেজের বেতন পাবেন। পাশাপাশি বিদেশে সেটেলড হবার সুযোগও রয়েছে।
চাকরির জন্য বিশ্বের আটটি দেশ ভিসার সুবিধা দিচ্ছে। জেনে নিন এই আটটি দেশের ভিসা সম্পর্কিত শর্তাবলী বিস্তারিত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
এখানে বেশিরভাগ চাকুরীজীবীদের H1B Visa ভিসা দেওয়া হয়। এই ভিসার ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে কাজ করা সহজ হয়ে যায়। আমেরিকায় চাকরির প্রথম শর্ত হলো এই ভিসা। যে সমস্ত ব্যক্তিদের স্পেশাল অ্যাবালিটি রয়েছে এবং যারা কোন নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত পড়াশোনা করেছেন তাদেরকে এই ভিসা দেওয়া হয়।
স্পেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি এবং স্পেন দেশে বসবাস করার মত পর্যাপ্ত অর্থ থাকলে তারা সহজেই এই দেশে চাকরি পেতে পারেন। ৬ বা তার বেশি নম্বর পাওয়া জরুরি। এখানে বসবাস করার জন্য এবং চাকরি করার জন্য বৈধ পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য বিমা, এডুকেশনাল সার্টিফিকেট এবং EX01 ফর্ম প্রয়োজন।
কানাডা
এখানে চাকরি করতে গেলে প্রথমে আপনাকে একটি ওয়ার্ক পারমিট দেখাতে হবে। তাছাড়া কাজের দক্ষতা এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। বর্তমানে কানাডায় হাজার হাজার বাংলাদেশি কর্মসূত্রে বসবাস করে থাকেন।
জার্মানি
অস্ট্রিয়া দেশের মতো এখানেও প্রথম ৬ মাসের জন্য ভিসা পাওয়া যায়। ১৮ বছরের বেশি বয়স হলে তবেই এখানে ভিসা পাওয়া যায়। স্নাতক ডিগ্রি ও পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বাংলাদেশিদের যদি আর্থিক স্থিতিশীলতা থাকে, তাহলে তিনি পাসপোর্ট এর ভিত্তিতে জার্মানি যেতে পারবেন। তাছাড়া চাকরির লেটার, সমস্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এবং স্বাস্থ্য বিমা থাকতে হবে।
অস্ট্রিয়া
এদেশেও চাকরি পাওয়ার সহজ. তবে এখানে প্রথমে ছয় মাসের জন্য চাকরির ভিসা পাওয়া যায়। এখানে চাকরি করার জন্য হাই লেভেল ওয়ার্কার্স ১০০ তালিকায় ৭০ নম্বরে থাকা অবশ্যক। তাছাড়া পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য বিমা, এডুকেশনাল সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
নিউজিল্যান্ড
বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এখানে চাকরির সুযোগ মেলে। বিশেষ ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকলে এখানে চাকরি পেতে অসুবিধা হয় না। স্কিলড মাইগ্র্যান্ট ক্যাটাগরি রেসিডেন্ট ভিসা জারি করা হয় এখানে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
কর্মসূত্রে এখানে হাজার হাজার বাংলাদেশি বসবাস করেন। এখানে ৬০ দিন, ৯০ দিন বা ১২০ দিনের জন্য ভিসা পাওয়া যায়। বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি বা মানবিক ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকলে এখানে চাকরির সুযোগ মেলে। সেরা ৫০০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা যায় তাহলে এখানে সহজেই চাকরি পাওয়া যায়। পাশাপাশি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্ট থাকতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর বাংলাদেশি রয়েছে। এখানে চাকরির সূত্রে আসতে গেলে ভিসার জন্য আবেদন করা আবশ্যক। প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্টের সাথে পাসপোর্ট এরও প্রয়োজন হবে এখানে চাকরি করতে গেলে।