শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে পাথর উত্তোলনে নতুন রেকর্ড

বিশেষ প্রতিবেদক : / ৩১০ Time View
Update : সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪

 

জেলার দিনাজপুর পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে প্রতিদিন লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত পাথর উত্তোলনে শ্রমিকরা রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। প্রায় আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন পাথর খনিতে মজুত রয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে দিনাজপুর মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতি নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রবিউল আউয়াল জানান, চুক্তি অনুযায়ী যেখানে প্রতিদিনের পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন, সেখানে খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি গত ২৬ জনুয়ারি থেকে প্রতিদিন পাথর উত্তোলন করছে ৬ হাজার টনের অধিক। এতেকরে নতুন মাইল ফলক সৃষ্টি হয়েছে খনিটির পাথর উত্তোলনের।
তিনি জানান, খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া- টেস্ট কনসোটিয়াম (জিটিসি) খনিটির উৎপাদন ও রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে একের পর এক নয়া রেকর্ড তৈরী করে লক্ষ্য মাত্রার অতিরিক্ত পাথর উত্তলনে মাইল ফলক গড়েছে। খনিটি গত ৫ বছরে পাথর উত্তোলনে গৌরব অর্জন করেছে।
জানা গেছে গত, কয়েক বছর থেকে খনি সর্বোচ্চ পাথর উত্তোলনে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। চলতি জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে গতকাল রোববার ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রর্যন্ত প্রতিদিন ৬ হাজার মেট্রিক টনের অধিক পাথর উত্তোলন হয়েছে। এতে প্রতিমাসেই মাসিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার অধিক পরিমানে পাথর উত্তোলনের ফলে উৎপাদানের অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে চলেছে। এ পাথর উত্তোলন অব্যহত থাকবে বলে খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি আশাবাদ ব্যক্ত করছেন ।
জিটিসি বলছেন, একমাত্র দেশীয় মাইনিং কোম্পানী জার্মানিয়া- ট্রেস্ট কনসোটিয়াম (জিটিসি) পাথর খনির দায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান সরকারের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছ। দেশের উন্নয়নে রেকর্ড পরিমাণের পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি বলছেন, মধ্যপাড়া পাথর খনিতে পাথর উত্তোলন ও উন্নয়নের চুক্তি বদ্ধ হওয়ার পর জিটিসি খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিণত করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। ফলে লোকসানী এ পাথর খনিটি ৫ বছর থেকে টানা ৫ বার লাভ জনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গৌরব অর্জন করেছে।
মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানী লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু দাউদ মুহাম্মদ ফরিদুজ্জামান দাবি করে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা পাথর উত্তোলন বৃদ্ধি করতে পারে। বর্তমানে খুনিতে প্রায় আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন উত্তোলন করা পাথর মজুত রয়েছে। দেশের অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট মজবুত সই নির্মাণে টিকসই ও উপযোগী।দেশের উন্নয়নে অবকাঠন নির্মাণে এখন থেকে পর্যাপ্ত পাথর চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে ক্ষণি কর্তৃপক্ষ সক্ষম রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর