ইসলামে আংটি পরা সাধারণভাবে বৈধ হলেও এর সঙ্গে কিছু শর্ত ও সতর্কতা রয়েছে। বিশেষ করে পুরুষদের জন্য সোনার আংটি হারাম বলে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে।
কোরআন ও হাদিসে মুসলমানদের আংটি পরা নিষিদ্ধ এমন কোনো দলিল নেই। তবে কিছু বিষয় মানা জরুরি—যেমন, পুরুষদের জন্য সোনা পরা নিষিদ্ধ, আল্লাহর নাম লেখা আংটি না পরা এবং অহংকার এবং প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে অলংকার পরা নিষেধ।
পুরুষদের জন্য সোনার আংটি হারাম
নবী করিম (সা.)-এর এক হাদিসে এসেছে, তিনি এক হাতে সিল্ক ও অন্য হাতে সোনা ধরে বলেন, ‘এই দুইটি জিনিস আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম, আর নারীদের জন্য হালাল।’ (ইবনে মাজাহ)
তাই ইসলামে পুরুষদের সোনা ব্যবহার করা, বিশেষ করে আংটি বা অলংকার হিসেবে নিষিদ্ধ বলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
আল্লাহর নাম লেখা আংটি পরা অনুচিত
আল্লাহর নাম বা কোরআনের আয়াত লেখা আংটি পরা শোভন নয়। কারণ, তা পরা অবস্থায় টয়লেটে যাওয়া অসম্মানজনক। কেউ চাইলে টয়লেটে যাওয়ার আগে আংটি খুলে রাখতে পারে, তবে এমন ঝামেলা এড়ানোই উত্তম।
এছাড়া অনেক সময় মানুষ ভুলবশত মনে করে, কোরআনের আয়াত বা আল্লাহর নাম লেখা আংটি পরলে তা বিপদ থেকে রা করবে। এ ধরনের বিশ্বাস শিরকের কাছাকাছি, কারণ রা একমাত্র আল্লাহর হাতেই, কোনো বস্তুর মাধ্যমে নয়।
প্রদর্শনীর জন্য অলংকারের ব্যবহার
আংটি বা গয়না পরা দোষণীয় নয়, যতণ তা নিজের পছন্দ, সৌন্দর্যের জন্য হয়। কিন্তু যদি উদ্দেশ্য হয় অন্যকে দেখানো, গর্ব করা বা সম্পদ জাহির করা, তাহলে তা ইসলামী দৃষ্টিতে নিন্দনীয়।
বিয়ের আংটি কি বিদআত?
অনেকে মনে করেন, বিয়ের আংটি পরা বিদআত বা ইসলামবিরোধী উদ্ভাবন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিয়ের আংটি যদি কেউ ইসলামী রীতি হিসেবে না বরং সংস্কৃতি বা পারিবারিক প্রথা হিসেবে পরে, তবে তা বিদআত নয়।
বিয়ের আংটি ইসলামী বিয়ের শর্ত নয়; এটি শুধু ভালোবাসা ও অঙ্গীকারের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যা সাংস্কৃতিকভাবে বৈধ।
ইসলামে মূলত আংটি পরা নিয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে অহংকার, শিরক বা হারাম বস্তু ব্যবহারের ঝুঁকি যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।