রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব বার্তাসংস্থা রিয়া নভোস্তি’র বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদামাধ্যম রাশিয়া টুডে। বুধবার গামালিয়া ন্যাশনাল সেন্টারের মহামারিবিদ্যা (এপিডেমিওলজি) বিভাগের প্রধান ভ্লাদিমির গুশচিন বুধবার এক সাক্ষাৎকারে রিয়া নভোস্তিকে ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক এমআরএনএ প্রযুক্তি অনুসরণ করে প্রস্তুত করা হবে এই টিকা।
এমআরএনএ-এর পূর্ণরূপ ম্যাসেঞ্জার রাইবো-নিউক্লিয়িক এসিড। প্রচলিত পদ্ধতিতে টিকা প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে মৃত বা বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত জীবাণু ব্যবহার করা হয়, তবে এমআরএনএ প্রযুক্তিতে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় না, বরং ব্যবহার করা হয় এক ধরণের প্রোটিন—যা দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর কোনো নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে মানবদেহের সহজাত প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বহুগুণ শক্তিশালী করে।
রিয়া নভোস্তিকে গুশচিন বলেন, ‘এ টিকার মূল উপাদান হবে এমন একপ্রকার প্রতিষেধক তরল বা অ্যান্টিজেন, যা মানবদেহে বিস্তৃতভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে। বর্তমানে আমরা এই প্রতিষেধক তরল তৈরির কাজ শুরু করেছি। আশা করছি দু’বছর বা তারও কম সময়ের মধ্যে এইডসের টিকা আমরা বাজারে আনতে পারব।’
অনিরাপদ যৌনতা, সিরিঞ্জের সূঁচের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে এইচআইভি ভাইরাস। এছাড়া, প্রসূতী মায়ের মাধ্যমেও এইডসে আক্রান্ত হয় শিশুরা। কোনো গর্ভবতী নারীর দেহে এইডসের জীবাণু থাকলে তা অনাগত সন্তানকেও সংক্রমিত করে।
রাশিয়ার গামালিয়া ন্যাশনাল সেন্টার বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জীবাণু গবেষণা প্রতিষ্ঠান। করোনার প্রথম টিকা আবিষ্কার করেছিল গামালিয়া সেন্টার। স্পুটনিক ৫ নামের সেই টিকার করোনা প্রতিরোধী সক্ষমতা ছিল ৯৭ শতাংশেরও বেশি। বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে করোনা মহামারি মোকাবিলায় এ টিকা ব্যবহার করা হয়েছে।