মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, কারণ নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কোনো বাণিজ্য চুক্তি হয়নি। এরপর ট্রাম্প আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেন, যা ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়। এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণ হিসেবে তিনি ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখাকে উল্লেখ করেন।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা আগস্টের শুরুতেই ব্যর্থ হয়, কারণ নয়াদিল্লি কৃষি ও দুগ্ধ খাত আমেরিকান ব্যবসার জন্য খুলে দিতে রাজি হয়নি।
ট্রাম্পের নতুন শুল্কের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে অনেক ভারতীয় পণ্য অতিমূল্যবান হয়ে পড়বে। উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্র হলো এমন কিছু বাণিজ্যিক অংশীদারের মধ্যে একটি, যাদের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৩১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে ভারতের অনুকূলে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল ৪১.১৮ বিলিয়ন ডলার।
রত্ন ও গহনা, সামুদ্রিক খাবার এবং টেক্সটাইল খাত এই নতুন শুল্কের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে পড়েছে। তবে ফার্মাসিউটিক্যালস, স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিকস, পরিশোধিত জ্বালানি ও কাঁচামাল ওষুধের উপর এই শুল্ক প্রযোজ্য নয়। এই শুল্কমুক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে ভারতের প্রায় ৩০ শতাংশ রফতানি অন্তর্ভুক্ত।
তিনি দেশজ উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আমাদের সবার ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্য কেনার মন্ত্র অনুসরণ করা উচিত।” তিনি দোকানদারদের দেশীয় পণ্য প্রচারে সাইনবোর্ড লাগানোর আহ্বানও জানান।
মোদি স্বীকার করেন, এই শুল্কের কারণে ভারতের উপর চাপ বাড়তে পারে, কিন্তু তিনি বলেন, “দেশ এটি সহ্য করতে প্রস্তুত।’
এই প্রভাব মোকাবেলার জন্য, ভারত অক্টোবরের মধ্যে পণ্যের ওপর খরচ কর কমানোর পরিকল্পনা করছে, যখন দেশজুড়ে দীপাবলি উৎসব পালিত হয়, যা দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কেনাকাটার মৌসুমও বটে।
ট্রাম্প একই সঙ্গে ব্রাজিলের ওপরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।
সূত্র: আরটি