দেবাশীষ মজুমদার : সাংবাদিক সমাজের নিরাপত্তা ও অধিকার রায় অঙ্গীকারবদ্ধ পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আবারও প্রমাণ করেছে তাদের দৃঢ় অবস্থান। সংগঠনটির উদ্যোগে সাংবাদিক আসাদুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ইউনিটির নেতৃবৃন্দ হামলার শিকার আসাদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে সরাসরি সূত্রাপুর থানায় গিয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও সমাজসেবক অ্যাডভোকেট পিকে আবদুর রব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক স্বাধীন কণ্ঠ-এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ওমর মোতালেব টিটু। সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ চেয়ারম্যান জনাব সাইফুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মুখপাত্র দেবাশীষ মজুমদার। প্রথম বক্তব্য দেন সংগঠনের মুখপাত্র অসিত চক্রবর্তী। এরপর বক্তব্য রাখেন দৈনিক ভোরের পাতা’র সাংবাদিক পলক এবং পুরান ঢাকা প্রেস কাবের সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ওমর মোতালেব টিটু সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নে সরকারের ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা করেন। সমাপনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট পিকে আবদুর রব বলেন—“সাংবাদিকদের উপর হামলা মানে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ। আমরা হামলাকারীদের বিচার না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।” সভা শেষে পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ আসাদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে থানায় পৌঁছান। সেখানে তাদের সাথে যোগ দেন বিশেষ অতিথি ওমর মোতালেব টিটু এবং পুরান ঢাকা প্রেস কাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানানো হয়। পরে আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন- “সাংবাদিকদের উপর হামলা কোনভাবেই সহ্য করা হবে না। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃত্বে আন্দোলন-প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।” পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এই প্রতিবাদ সভা ও তাৎণিক মামলা দায়ের প্রমাণ করেছে, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা রায় তারা সবসময়ই একনিষ্ঠ ও আপসহীন।