November 23, 2025, 7:20 pm
শিরোনাম :
ব্রেকিং নিউজ :

পালং শাক খাওয়া এড়িয়ে চলবেন যারা

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীত আসতেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে পালং শাক। পুষ্টিগুণের জন্য পালং শাককে অনেকেই সুপারফুড বলে থাকেন। আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিনসহ নানা খনিজে ভরপুর এই শাক প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অনেক পরিবারই রাখেন।

তবে উপকারিতার পাশাপাশি পালং শাকের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে, যা নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য তির কারণ হতে পারে ।

জেনে নেওয়া যাক কোন ধরনের মানুষকে পালং শাক খাওয়ায় সতর্ক থাকতে হবে বা এড়িয়ে চলা উচিত-

১.জয়েন্টের ব্যথা থাকলে বা ইউরিক অ্যাসিড থাকে

জয়েন্টের ব্যথা বা ইউরিক অ্যাসিড থাকলে পালং শাক খাওয়ার েেত্র সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ পালং শাক পিউরিন সমৃদ্ধ এবং এতে অক্সালিক অ্যাসিডও থাকে। এই দুটি যৌগ শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে প্রদাহ বৃদ্ধি করে, ফলে জয়েন্টে ব্যথা, আর্থ্রাইটিস বা গাউটের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। যাদের ইতিমধ্যেই ইউরিক অ্যাসিড বেশি, আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা আছে, তারা অতিরিক্ত পালং শাক খেলে উপসর্গগুলো আরও খারাপ হতে পারে।

২. রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেয়ে থাকলে

রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করলে পালং শাক খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ পালং শাকে থাকে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-কে, যা রক্ত পাতলা করার ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। স্ট্রোক বা হৃদরোগ প্রতিরোধে এসব ওষুধ দেওয়া হয়, কিন্তু ভিটামিন-কে বেশি থাকায় পালং শাক শরীরে ওষুধের সঙ্গে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

ফলে রক্ত জমাট বাঁধা বেড়ে যেতে পারে এবং ওষুধ তার স্বাভাবিক কাজ করতে নাও পারে। এজন্য যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেলে পালং শাক কম খাওয়া উচিত।

৩. কিডনিতে পাথর থাকলে

অতিরিক্ত পালং শাক খেলে শরীরে অতিরিক্ত অক্সালিক অ্যাসিড তৈরি হতে পারে, যা শরীরের পে সহজে অপসারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই অক্সালিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিলিত হয়ে ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর তৈরি করে, যা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। প্রস্রাবে অক্সালেটের পরিমাণ বেশি থাকলে এই পাথর আরও দ্রæত জমতে শুরু করে। তাই যাদের আগে থেকেই কিডনিতে পাথর আছে, তাদের পালং শাক সীমিত পরিমাণে বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।

৪. শোষণজনিত সমস্যা থাকলে

পালং শাকে থাকা অক্সালেট নামের উপাদানটি শরীরে প্রবেশ পর আয়রন, ক্যালসিয়ামসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। ফলে শরীর এই খনিজগুলো ঠিকভাবে শোষণ করতে পারে না।

এর কারণে আয়রন শোষণ কমে গিয়ে রক্তশূন্যতা বা হিমোগ্লোবিন কমার ঝুঁকি দেখা দেয়, আর ক্যালসিয়াম শোষণ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে হাড় দুর্বল হতে পারে। তাই যাদের শরীরে আগেই আয়রন বা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে, তারা নিয়মিত বেশি পালং শাক খেলে এই ঘাটতি আরও বাড়তে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক