October 12, 2025, 8:06 am
শিরোনাম :
ব্রেকিং নিউজ :

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকবে রাষ্ট্র : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রতিটি কন্যাশিশুর স্বপ্ন পূরণের পথে আমরা রাষ্ট্রকে তার অংশীদার বানাব, বাধা নয়। বাংলাদেশের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমন, যেখানে প্রতিটি মেয়ের একই স্বাধীনতা, সুযোগ ও সুরা থাকবে, যা যেকোনো বাবা-মা তাদের নিজের সন্তানের জন্য কামনা করেন।গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।প্রতিবছর ১১ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। দিনটি বিশ্বজুড়ে কন্যাশিশুদের অধিকার, স্বপ্ন ও নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে উদযাপিত হয়। জাতিসংঘের নির্ধারিত ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো, ‘দ্য গার্ল আইএম, দ্য চেঞ্জ আই লিড: গার্ল অন দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্রাইসিস।’আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলে তারেক রহমানের দেওয়া স্ট্যাটাসটি নিচে তুলে ধরা হলো।আজ (গতকাল শনিবার) আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে আসুন, আমরা প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন দেখার, শেখার, নেতৃত্ব দেওয়ার, মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার উদযাপন করি। একজন কন্যার বাবা হিসেবে আমি জানি যে, মেয়েদের মতায়ন শুধু নীতি নয়— এটি ব্যক্তিগত দায়িত্ব। বাংলাদেশের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমন, যেখানে প্রতিটি মেয়ের একই স্বাধীনতা, সুযোগ ও সুরা থাকবে, যা যেকোনো বাবা-মা তাদের নিজের সন্তানের জন্য কামনা করেন।বিএনপি সরকারের রয়েছে জীবন পরিবর্তনের এক ঐতিহ্য এবং সুযোগ পেলে আমরা আরো বেশি কিছু করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দেখেছি কিভাবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধিকে একটি শিল্পের চেয়েও বেশি কিছুতে পরিণত করেছিলেন। এটি আশায় পরিণত হয়েছিল। লাখ লাখ নারী কাজে প্রবেশ করেছিলেন। আয়, সম্মান ও স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন।তার নেতৃত্বে, বাংলাদেশজুড়ে মেয়ে শিশু এবং নারীদের জীবনের উন্নতিকে প্রতিষ্ঠিত করার একক উদ্দেশ্য নিয়ে ‘মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ তৈরি করা হয়েছিল।প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মেয়েদের শিা বিশেষ সুবিধা নয়, বরং একটি অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিা বিনামূল্যে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং ‘খাদ্য বা টাকার বিনিময়ে শিা’ কর্মসূচি লাখ লাখ মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে সাহায্য করেছিল, পারিবারিক ভাগ্য পরিবর্তন করেছিল, শক্তিশালী স¤প্রদায় গড়ে তুলেছিল, মতায়িত নারীদের একটি প্রজন্ম তৈরি করেছিল।তার পথপ্রদর্শক উদ্যোগ ‘ফিমেল সেকেন্ডারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট’ আমাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক শিায় নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা করে এবং বাল্যবিয়ের হার কমিয়ে আনে। এই প্রকল্প পরবর্তী সময়ে কন্যাশিা ও নারীর মতায়নের এক বৈশ্বিক আদর্শে পরিণত হয়, যা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশেও অনুসরণ করা হয়েছে। এই সাহসী পদপেগুলো দেখায়, যা প্রমাণ করে যে যখন প্রশাসন মেয়েদের মর্যাদাকে সম্মান করে এবং তাদের ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে তখন কী সম্ভব। এগুলো সাহসী পদেেপর দৃষ্টান্ত, যা প্রমাণ করে— যখন কোনো সরকার কন্যাশিশুদের মর্যাদা রা করে এবং তাদের ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে, তখন কত কিছুই সম্ভব হয়ে ওঠে।বিএনপির ভবিষ্যৎ নীতিমালা সম্মান ও বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে, যার মাধ্যমে:

১. নারী পরিবারের প্রধানদের নামে ‘পরিবার কার্ড’- প্রতিটি পরিবারের প্রধানকে সরাসরি সাহায্য ও সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করা।

২. নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, ব্যবসায়িক প্রশিণ ও আর্থিক সহায়তা- কারণ অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা কোনো আপসের বিষয় নয়।

৩. মেয়েদের জন্য শক্তিশালী শিাগত ও বৃত্তিমূলক সুযোগ— যাতে প্রতিটি মেয়ে, গ্রামে হোক বা শহরে, দতা অর্জন করতে পারে এবং ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক