নিজস্ব প্রতিবেদক : গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ছয় জনের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১৯৫ জন। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১১৯৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২৭৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২২০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৫ জন, খুলনা বিভাগে ১১৪ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৯ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রাজশাহী বিভাগে ১১৩ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) এবং রাজশাহী বিভাগে ৯ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন। এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৩ জনের। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় এবং ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর অর্ধেকের বেশি তরুণ : দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৭,০০০। উদ্বেগজনকভাবে, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মধ্যে ৫৩ শতাংশই তরুণ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগে এত মানুষের মৃত্যু ‘জাতির জন্য লজ্জা’র বিষয়। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন তারা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)-এর তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে মৃত্যুবরণকারীদের ৫৩ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, আর ১৫ শতাংশ হলো শিশু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির পেছনে তিনটি মূল কারণ রয়েছে-জলবায়ু পরিবর্তন, অনিয়মিত মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এবং জনসচেতনতার অভাব। তাদের মতে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে টেকসই ও কার্যকর