লাইফস্টাইল ডেস্ক : ভারী শরীর, মোটা, দৌড়াতে পারবেন, দৌড়াতে, হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে, ওজন কমানো, ওভার ওয়েট
হাত-পা ব্যথা করবে, হাঁপিয়ে যাব, সকালে উঠতে পারবোনা – এই চিন্তায় দৌড়ানো আর হয় না। কিন্তু ওজন কমানো, শরীর ঝরঝরে রাখা কিংবা হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে দৌড়ের বিকল্প নেই। বিশেষ করে একটু ভারী শরীরের মানুষের জন্য।
ওভার ওয়েট থাকলে অনেকে হাল ছেড়ে দেন শুরুর আগে, কেউ কিছুদিন পর। তাই ওজন কমাতে দৌড়াতে হবে সহজ উপায়ে। চলুন জেনে নেই সহজ উপায়গুলো-
১. রুটিন তৈরি করুন
আপনার প্রতিদিনের রুটিন থেকে আধা ঘণ্টা সময় বের করে নিন। বিশেষ করে ভোরের সময় বাছুন। কারণ তখন পরিবেশ স্নিগ্ধ থাকে। এছাড়াও ভোরের অভ্যাস আপনার দিনের কাজ-কর্মে জোশ নিয়ে আসে। বিশ্রামের সুবিধার্থে একদিন বিরতি যোগ করুন। ভারী শরীর নিয়েও দৌড়াতে পারবেন, যদি জানা থাকে এই ৬ কৌশল
২. ছোট থেকে শুরু করুন
প্রথম দিনেই ৫-১০ কিলোমিটার দৌড়ানোর চেষ্টা ভুলেও করবেন না। শরীরকে অভ্যস্ত হতে সময় দিন। একটু হাটা, একটু দৌড়ের সমন্বয় গড়ে তুলুন। হতে পারে সেটা এক মিনিট দৌড় ও এক মিনিট হাঁটা। এভাবেই ধীরে ধীরে দৌড়ের সময় বাড়ান।
৩. রানিং শু ব্যবহার করুন
দৌড়ের সবচেয়ে বড় সঙ্গী হলো একজোড়া ভালো মানের জুতো। ভালো বলতে বিয়ে বাড়ি কিংবা অনুষ্ঠানে পড়ার জুতো নয়। ভালো বলতে ‘রানিং শু’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে পায়ে আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকে না। পায়ের পাতায় আরাম লাগে।
৪. শরীরকে প্রস্তুত করুন
দৌড় শুরু করার আগে শরীরকে হালকা গরম করে নিন। ৫ থেকে ১০ মিনিট স্কিপিং, হালকা জগিং বা স্ট্রেচিং অনুশীলন করলে পেশি সক্রিয় হয়। এতে করে পেশি বা রগে টান লাগার সম্ভাবনা কমে যায়।
৫. নিজেকে অনুপ্রাণিত কিংবা আত্মবিশ্বাস বাড়ান
প্রথম কিছুদিন সকালে উঠতে কিংবা দৌড়াতে কষ্ট লাগবে। তবে থেমে যাওয়া চলবে না।? নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন। আজ ১০ মিনিট, কাল ১৫ মিনিট এভাবে সময় বৃদ্ধি করুন। দৌড়ানোর সময় কানে হেডফোন বা বøæটুথে শুনতে পারেন আপনার পছন্দের গান। অথবা ফিটনেস অ্যাপ ব্যবহার করে নিজের অগ্রগতি ট্র্যাক করুন।
৬. খাদ্যাভ্যাস ও বিশ্রাম ঠিক রাখুন
রানিংয়ের আগে হালকা খাবার খান। যেমন একটি কলা বা এক মুঠো বাদাম। দৌড় শেষে পানি পান করুন এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন- ডিম, দুধ, ডাল। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। বিশ্রাম ছাড়া দৌড়ের সুফল পুরোপুরি পাওয়া যায় না। গতকাল (২৬ অক্টোবর) বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ওয়ার্ল্ড রান ডে। সকলের সুবিধার্থে প্রতিবছরের অক্টোবর কিংবা নভেম্বরের কোন এক রবিবারে পালিত হয় এই দিবসটি। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার জীবন বদলানোর দিন। নিজ ইচ্ছাশক্তি, অধ্যাবসায়, পরিশ্রমের সমন্বয়ে শুরু করুন ওজন কমানোর লড়াই।
তথ্যসূত্র: ডেইস অফ দ্য ইয়ার, হেলথ লাইন, কিভল্যান্ড কিনিক