শুকনো ডুমুর ভিজিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। ভেজানোর কারণে এর স্বাদ এবং পুষ্টি আরও বেড়ে যায়। ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ ফল ডুমুর। ভিজিয়ে রাখলে এটি নরম হয়ে যায়, যার ফলে এর পুষ্টিগুণ শোষণ করা সহজ হয় এবং প্রাকৃতিক মিষ্টি হজম সহজ হয়। কিন্তু এক মাস ধরে প্রতিদিন ভিজিয়ে রাখা ডুমুর খেলে আসলে কী হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
উন্নত হজম : ডুমুর দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ, যা মলকে নরম করে এবং অন্ত্রের মধ্য দিয়ে মল চলাচল দ্রæত করে। খাদ্যতালিকায় ডুমুর যোগ করলে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমায় এবং মলত্যাগ নিয়মিত করে।
একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ডুমুর স্বতঃস্ফ‚র্ত মলত্যাগ বৃদ্ধি করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
হৃদরোগ দূরে রাখে : ডুমুর পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইটোস্টেরল সরবরাহ করে। এগুলো সুষম খাদ্যের সঙ্গে মিলিত হলে সুস্থ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ল্যাবরেটরি গবেষণা এবং ডুমুরের ফাইটোকেমিস্ট্রির পর্যালোচনা থেকে জানা যায় যে, ডুমুর মোট কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগিøসারাইড কমাতে পারে, যদিও বেশিরভাগ মানুষের তথ্য প্রাথমিক বা প্রাণী-ভিত্তিক। ভেজানো ডুমুর হৃদযন্ত্র-বান্ধব খাবার হতে পারে তবে নির্ধারিত চিকিৎসার বিকল্প হওয়া উচিত নয়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস: ডুমুর পলিফেনল এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগের উৎস।
ভেজানো পানিতে দ্রবণীয় ফেনোলিক নিঃসরণে সাহায্য করতে পারে, তাই নরম ফলের সঙ্গে ভেজানো পানিটুকুও খেলে আপনি সেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আরও বেশি পেতে পারেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র্যাডিকেলকে নিউট্রাল করতে সহায়তা করে, যা ডুমুরের প্রদাহ-বিরোধী এবং প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব বাড়িয়ে তোলে।