November 19, 2025, 9:33 pm
শিরোনাম :
ব্রেকিং নিউজ :

চীনে বসবাসকারী নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে জাপান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইয়ান সম্পর্কে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানা তাকাইচির মন্তব্যের কারণে তাইওয়ান এবং জাপানের মধ্যে ক‚টনৈতিক বিরোধ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনে বসবাসকারী নিজ দেশের নাগরিকদের আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে এবং বিশাল জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়ে সতর্ক করেছে জাপান। খবর রয়টার্সের।

ক্রমবর্ধমান এই বিরোধের কারণে এরই মধ্যে বেইজিং চীনা নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। এদিকে সোমবার চীনে অবস্থিত জাপানি দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলেছে, আপনার আশপাশের পরিবেশের দিকে মনোযোগ দিন এবং যেখানে বিশাল জনসমাগম হয় এমন স্থানগুলো এড়িয়ে চলুন।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি পার্লামেন্টে বলেন, তাইওয়ানে যদি শক্তি প্রয়োগ বা সশস্ত্র হামলা হয় তাহলে জাপান সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে। তার এই মন্তব্যকে উসকানিমূলক বলে অভিযোগ করেছে চীন। পরে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বেইজিং জানায়, তারা জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। পাল্টা টোকিওও চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। টোকিও বলছে, তাইওয়ান নিয়ে তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি। জাপানের একটি দ্বীপ থেকে তাইওয়ানের দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার। শুক্রবার রাতে জাপানে অবস্থিত চীনা দূতাবাস তাদের উইচ্যাট পোস্টে চীনা নাগরিকদের সতর্ক করে বলে, তাইওয়ান বিষয়ে জাপানি নেতাদের প্রকাশ্য উসকানিমূলক মন্তব্য দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

জাপানি দূতাবাসের সতর্কীকরণে নাগরিকদের ?‘স্থানীয় রীতিনীতিকে সম্মান করার এবং স্থানীয় জনগণের সাথে যোগাযোগ করার সময় কথাবার্তা এবং মনোভাব সম্পর্কে সতর্ক থাকার’ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যদি আপনি এমন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে দেখেন যাকে আপনার সন্দেহ হয়, তাহলে সেখান থেকে দূরে থাকুন এবং অবিলম্বে সেই স্থান ত্যাগ করুন।

মঙ্গলবার ক‚টনৈতিক বিবাদের ফলে চাপ সৃষ্টি হওয়ায় টোকিওর শেয়ার তিন শতাংশ কমে গেছে। সোমবার চীন তার নাগরিকদের জাপানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো এড়িয়ে চলার বিষয়ে সতর্ক করার পর জাপানের পর্যটন এবং খুচরা শেয়ারের দাম কমেছে।

এশিয়ার দুটি শীর্ষ অর্থনীতি ঘনিষ্ঠভাবে একে ওপরের সঙ্গে জড়িত। জাপানে পর্যটনের সবচেয়ে বড় উৎস চীন। ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে প্রায় ৭৫ লাখ পর্যটক জাপানে ঘুরেছেন।

চীন দাবি করে তাইওয়ান তাদেরই অংশ এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগে দ্বীপটিকে দখল করা থেকে তারা পিছু হটবে না। যদিও জাপান ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তাইওয়ান শাসন করেছে।

চীন ও জাপান গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হলেও ঐতিহাসিক বিরোধ, সামরিক উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক প্রতিদ্ব›িদ্বতা তাদের সম্পর্ককে প্রায়ই টানাপড়েনে ফেলে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক