November 1, 2025, 9:52 pm
শিরোনাম :
ব্রেকিং নিউজ :

রাজধানীতে ১০ মাসে আ.লীগের ৩ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করার অভিযোগে চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, এটা গণগ্রেপ্তার বলা যাবে না। আমরা শুধু ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া এবং তাৎণিকভাবে অপরাধে জড়িতদের গ্রেপ্তার করছি। যাচাই-বাছাইয়ের পর অভিযোগ প্রমাণ হলেই মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। তিনি জানান, ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই রাজধানীতে এসে মিছিলের চেষ্টা করছেন। তাদের উদ্দেশ্য রাজধানীতে তাদের উপস্থিতি জানানো এবং আতঙ্ক সৃষ্টি। ঝটিকা মিছিলের অংশগ্রহণকারীদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, বাইরের জেলা থেকে কেউ ঢাকায় আসবে, থাকা-খাওয়ার খরচসহ নির্দিষ্ট টাকা না হলে তো সে আসবে না। আমাদের কাছে তথ্য আছে- বিভিন্নভাবে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। যারা অর্থায়ন করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন ইউনিয়ন, থানা বা উপজেলা পর্যায়ের নেতা। এতে পরিষ্কার, সংগঠিতভাবে তারা ঢাকায় এসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘœ করার চেষ্টা করছে। মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন ডিসি তালেবুর রহমান। বলেন, অনেককে হাতেনাতে ককটেলসহ ধরা হয়েছে। এগুলো খুব বিপজ্জনকভাবে তৈরি। উদ্দেশ্য ছিল জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, ২৪৪ জন একদিনে এবং ১৩১ জনকে অন্যদিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের নজরদারির কারণেই এসব সম্ভব হয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়বে- এমন মন্তব্য করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডিএমপি যেকোনো অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার সমতা রাখে। ঝটিকা মিছিল সমন্বয়কারীদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। রাজধানীতে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক কার্যক্রম মোকাবিলায় পুলিশের কড়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। ঝটিকা মিছিল, বিস্ফোরণ এবং আর্থিক প্রণোদনার অভিযোগে তদন্ত চলছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। এদিকে, সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার ৪৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি। গ্রেপ্তাররা হলেন- আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য আনিসুজ্জামান রনি (৩১), আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য মো. মুন্না মিয়া (২৬), আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য মো. জাকির হোসেন খান (২২), আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য মো. কামরুজ্জামান (২৫), ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হাসান সোহান (২৯), ছাত্রলীগের সদস্য মো. রকিবুল হাসান (৩৪), ইয়াসিন আরাফাত শুভ (২০), তাসরীপ হোসেন (২১), মো. খালেদ বিন কাওসার (২৮), কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাঁধন (৩২), সাতীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেন (৩৩), কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল ইসলাম (২৫), ছাত্রলীগের কর্মী সাইফুল ইসলাম সাইফ (৩১), আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জনি (৩৭), আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মো. শেখ রাশেদুজ্জামান (৩৫), যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ মামুন শেখ পরশ (৩২), স্বেচ্ছাসেবক লীগের সক্রিয় কর্মী মামুন সেখ (৪০), স্বেচ্ছাসেবক লীগের সক্রিয় মোহাম্মদ রাজু (৩০), যুবলীগের সক্রিয় কর্মী শফিউল আলম (৩৫), আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী জাহিদুল ইসলাম সুনু (৪০), যুবলীগের সক্রিয় কর্মী মোহাম্মদ কুদ্দুস সরদার (৩২), ছাত্রলীগের কর্মী মিঠুন দেবনাথ (৩৪), বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বজলুর রহমান বাধন (৩০), নোয়াখালী পৌর ১ যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক নুর আলম সিদ্দিক (৪১), বরগুনা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ দোলন (২৩), আওয়ামী লীগের কর্মী মো. রবিউল আওয়াল (২৫), জয় কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠু দেবনাথ (৩০), সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সদস্য আশরাফ আল কবির চৌধুরী (২৭), ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য দেব যুথি দে নব (২৩), বাউরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন ফরহাদ (২১), আওয়ামী লীগের কর্মী মো. আলমগীর হোসেন জনি (৩০), আওয়ামী লীগের কর্মী বিশ্বজিৎ সাহা (৩০), আওয়ামী লীগের কর্মী মো. মাহাফুজুর রহমান (৩০), আওয়ামী লীগের কর্মী মো. আ. শুকুর (৩৫), আওয়ামী লীগের কর্মী আবিদুর রহমান (২০), আওয়ামী লীগের কর্মী মো. সাব্বির (১৯), আওয়ামী লীগের কর্মী মো. ইমন হোসেন (১৯), আওয়ামী লীগের কর্মী ফাতিনুর শিমুল (১৯), আওয়ামী লীগের কর্মী মো. আরিফুল ইসলাম (১৯), আওয়ামী লীগের কর্মী শ্রীকান্ত কর্মকার (২০), জিয়াদ মাহমুদ (২১), মো. জিয়াদ (২০), মো. আসলাম (২১), মো. রিফাত ইসলাম (১৯), মো. মিল্লাত বাবু (১৮) ও মো. স্বপন মিয়া (২২)। মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর, খিলতে, উত্তরা, বাড্ডা, বনানী, তেজগাঁও এবং সিটিটিসির বিভিন্ন অভিযানে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক